
কত অজানারে
Shankar
Short Review: নোয়েল ফ্রেডরিখ বারওয়েল ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের সর্বশেষ ইংরেজ ব্যারিস্টার, বিখ্যাত বারওয়েল বংশের আলোকবর্তিকা। এই বংশ ক্লাইভের আমল থেকেই ভারতবর্ষে ছিল, নানা ভাবে নানা পেশায় নানা সময়ে। আমাদের অতিপ্রিয় লেখক শংকর ছিলেন প্রথম জীবনে তার সহকারী। আইনজীবি হিসেবে নয়, বরং চেম্বার ক্লার্ক হিসেবে। ওল্ড পোস্ট অফিস রোডের পুরনো সেই টেম্পল চেম্বারের কক্ষে বসে বারওয়েল সাহেব কখনো খুলে বসতেন তার বিশাল অভিজ্ঞতার ঝুলি, কখনো বা মক্কেলের নিজের মুখেই শংকর শুনে নিতেন মানবজীবনের জটিলতম সমস্যার সব দুঃখগাথা। এর কিছু অংশ নিয়েই অমর এই সৃষ্টি, কত অজানারে! প্রতিটি আইনের ছাত্র কিংবা বিবেকবান মানুষের জন্য এইটি একটি অবশ্যপাঠ্য বই।

আইনের ভাব ও অভাব
Dr. S. M. Masum Billah
Short Review: ড. মাসুম এর বলার আলাদা একটা ভঙ্গি আছে, লেখার নিজস্ব একটা রীতি মানেন। বাংলায় এমন সুন্দর করে আর কে কবে কোথায় আইনকে বিশ্লেষণ করেছে! আইন ও সঙ্গীত অংশে তিনি লিখেন, সংবিধানে ‘আমার সোনার বাংলা’ জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নেয়া নিয়ে, ‘আইনি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ভালবেসে স্নেহ-মায়া দিয়ে এমন একটি দেশ গড়া, যেখানে স্বদেশের ‘বদনখানি মলিন হলে’ ‘নয়ন জলে ভাসবে’ সুখের সময় ‘প্রাণে বাঁশি’ বাজবে। মানবতার বাত্তি- জ্বালানি দিয়ে আমরা একসাথে সুর মেলাব ‘মরি-হায়, হায়রে।’ সাবেক বিচারপতি এসকে সিনহা যখন যাবৎ জীবন মানে আমৃত্যু বুঝান, ড. মাসুম বলেন, ‘কিন্তু স্যার, জীবন এত বড় আর বাঙময় যে, এর সঙ্গে কোন পূর্বাপর শব্দ যোগ করেও একে মৃত্যু নামক নশ্বর কোন ধারণার সমান অর্থ দেয়া যায় না।’ সাক্ষ্য আইনের সমালোচিত ৫৪ ও ১৫৫(৪) ধারাতে তিনি শাণিত করেন এভাবে, ‘ আমাদের দেশে নারীর যৌনতার একটা সাংস্কৃতিক মানদণ্ড ও সীমারেখা আছে। সেটিকে হতে হবে মধুমাখা, পরিশুদ্ধ, নয়ালু, অবাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত। এই সাংস্কৃতিক বলয় ভাঙলে নারীর যৌনতা বাজারের বিষয় বলে গণ্য হয়। যে নারী শারীরিক চেতনায় বাজারিক, উন্মুক্ত, উদ্বাহু বা বাণিজ্যিক তার যৌন সংসর্গ প্রতিশ্রুত, সুলভ ও সু-অভিগম। সুতরাং তার প্রতিরোধের দেয়াল সু-অতিক্রম্য। ড. মাসুমের এই বই সুখপাঠ্য, অ-আইনি মানুষের জন্যও। আর আইনের ছাত্রদের জন্য অবশ্যপাঠ্য।

আইনের আয়না
Saeed Ahsan Khalid
Short Review: মানুষ উৎসাহ নিয়ে আইনকানুন বানায়, যদিও সকলেই জানে মানুষ মূলত নিয়ম মানতে চায় না। তারপরও বানায়। দুনিয়া নিয়মের কাঙাল। আবার, একই সাথে দুনিয়াদারীর মধ্যে অনিয়মেরও জায়গা আছে। আর সেটা আছে বলেই লোককে সোজাপথে টেনে ধরাটাও আছে। এর মধ্যেই আইন শাস্ত্রের জন্ম ঘটে। যে শাস্ত্র নানাভাবে ছুটতে ছুটতে আজকের রাষ্ট্রের কব্জায় এসে স্বেচ্ছায় বশ মেনেছে। বশ মানা আইন ‘বেশ’ বদলেছে বারবার, বেশির পক্ষে থেকেছে। কে ঠকেছে বেশি, যে ঠকিয়েছে সে জানে কেবল। সাইদ আহসান খালিদ নিয়ম-অনিয়মের এই সমাজটিকে টুকরো টুকরো করে আলাদা করেছেন প্রথমে। তারপর বিগড়ানো কলকব্জাকে আতশ কাঁচের তলে ফেলে কৌতুহলী চোখে যাচাই করেছে। কখনো বা ঘষে মরিচা তুলতে চেয়েছে। আর যেখানে শিরিষে কাজ হয়নি সেখানে নিরুপায় হয়ে কলম তুলে দু’কথা লিখেছে। সেইসব বোঝাপড়ার কথাসমূহই সামনে এলো আইনের আয়না হয়ে।

অসমাপ্ত জবানবন্দী
M.T. Ullah
Short Review: এম.টি. উল্যাহ’র উপন্যাস ‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’। একজন ল’ গ্র্যাজুয়েটের আইন পেশা নিয়ে ভাবনা, শিক্ষানবীশ সময়, বর্তমান আইন পেশার বাস্তবতা, সম্ভাবনা ও আইন অঙ্গনের নাড়ির অভিজ্ঞতা নিয়ে এ উপন্যাস। অত্যন্ত সাধারণ, স্বাভাবিক অভিজ্ঞতার আলোকে বাস্তবতার বিবরণ ফুটে তোলার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণের আইনভঙ্গের ভাবনাও ফুটে তোলা হয়েছে বইটিতে। বিশেষ করে জর্জ কোর্টের দৈনন্দিন উপজীব্য বিষয়সমূহের এক সাহিত্যিক সমারোহের মধ্য দিয়ে বিস্তৃতি ঘটানোর প্রয়াস চালানো হয়েছে বইটিতে।

লাল দালান
Narayanchandra Debnath
Short Review: Text

At Bongobhaban: Last Phase (বঙ্গভবনে শেষ দিনগুলি)
Justice Abu Sadat Muhammad Sayem
Short Review: ৬ নভেম্বর থেকে ২১ এপ্রিল ১৯৭৭—বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক অস্থির, অনিশ্চিত ঝড়ো সময়। বিচারপতি আবুসাদাত মোহাম্মদ সায়েম ছিলেন এই কালপর্বে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট। ‘৭৫এর ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারে পর সামরিক বাহিনির ভিতরে সৃষ্ট অস্থিরতা, নেতৃত্বহীন রাজনৈতিক বিশৃংখলা, প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, সেনা অভ্যুথান-পাল্টা অভ্যুথানে দেশ যখন ক্ষতবিক্ষত বিচারপতি সায়েম তখন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী ক্ষমতা গ্রহণ করেন। সামরিক শাসনে বেসামরিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাকে যেসব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। তারই বিবরণ, বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন এই বই। তিনি সামরিক সরকারের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণে সম্মত হয়েছিলেন দেশ শাসনের ভার জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তরের আশায়। কিন্তু কেন, কোন পরিস্থিতি তাকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না করেই বঙ্গভবন ত্যাগ করতে হয়েছিল সেসব কথা তিনি বলেছেন এ বইতে। সীমিত পরিসরে বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ কালপর্বে ক্ষমতা কেন্দ্র ও প্রাসাদ রাজনীতির অন্তরালের ঘটনাবলি উপস্থাপিত হয়েছে এ-বইতে।

লিগ্যাল এইডঃ হারানো অধিকারের ইতিকথা
Advocate Jahangir Alam Sarkar
Short Review: Text

গল্পে গল্পে আইনকথা
M. Shamsul Haque
Short Review: Text

বিচার ব্যাবস্থার বিবর্তন
Kazi Ebadul Haque
Short Review: বিচারপতি কাজী এবাদুল হক তাঁর এই গ্রন্থে যুগে যুগে, দেশে দেশে, বিচার ব্যবস্থার বিবর্তনের ইতিহাস লিখেছেন এবং শেষ পর্যন্ত তাঁর নিজের কর্মক্ষেত্র, বর্তমান বাংলাদেশে এসে আমাদের নিজেদের বিচার ব্যবস্থার রূপচিত্রটি পর্যবেক্ষণ করে ভবিষ্যতের জন্য কিছু দিক নির্দেশনার উল্লেক করেছেন। গ্রন্থের বিষয় পরিকল্পনাটি যেমন মহৎ তেমনি বৃহৎও বটে। বিচারপতি কাজী এবাদুল হক এমন একটি বিশাল কলেবরের বিষয় সাব্যস্ত করে যে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন, স্বীকার না করে উপায় নেই, তা তাঁর বিষয়ের মতই বিরাট। স্বল্প পরিসরে তিনি ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য বিচার ব্যবস্থাসমূহ সন্নিবদ্ধ করেছেন। আমাদের উপমহাদেশে বিশেষত আমাদের দেশে প্রাচীন হিন্দু আমল থেকে শুরু করে মুসলমান আমল, ব্রিটিশ আমল এবং বর্তমান কাল পর্র্যন্ত আইন ও বিচার ব্যবস্থার ক্রমবিকাশ ও প্রবণতা সংক্ষেপে হলেও নিষ্ঠার সাথে লিপিবদ্ধ করেছেন। তথ্যপঞ্জি দৃষ্টে অনুমিত হয় যে লেখক যথেষ্ট পরিশ্রম করে বস্তুনিষ্ঠ থাকার সযত্ন প্রয়াস অক্ষুণ্ন রেখেছেন। বালাদেশের বিচার ব্যবস্থার পটভূমি ও বর্তমান প্রেক্ষিত এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহের, যেমন- আইন শিক্ষা, আইন পেশা ইত্যাদি সম্বন্ধে তেমন কোনো সঙ্কলন গ্রন্থ বাজারে খুব বেশী না থাকায় অত্র গ্রন্থটি অত্র বিষয়ে পাঠকদের প্রয়োজন পূরণে সক্ষম হয়েছে। উল্লেখ্য যে, অত্র গ্রন্থের বাংলাদেশ অধ্যায়ে লিখিত সকল বিষয় বেশ তথ্যপূর্ণ ও গবেষণামূলক। বাংলাদেশের বিচারকদের বিভিন্ন পদের ও আইনজীবীদের বিভিন্ন পদবির বিবর্তনের ইতিহাস একদিকে যেমন আমাদের ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, তেমনি এই গ্রন্থের আকর্ষণীয়তাও বৃদ্ধি করে। এছাড়াও, অন্যান্য দেশের মতো আমাদের বিচার ব্যবস্থাও বর্তমানে নানা সমস্যায় পীড়িত। এ কারণে অত্র গ্রন্থে বিচারপতি এবাদুল হক বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার কিছু দিক উল্লেখ করেছেন এবং তা অতিক্রম করার বিষয়ে তাঁর মতামত ব্যক্ত করেছেন, যা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার দাবি রাখে।

নিত্যদিনের আইন ও অধিকার
Md. Abdul Halim
Short Review: Text

তুমিই বিচারক
Advocate Azad
Short Review: Text

ওকালতি ও জজিয়াতি জীবনের জলরেখা
Md. Golam Rabbani
Short Review: মননশক্তির বিকাশ নানাভাবে ঘটে। বিচারপতি রাব্বানীর ক্ষেত্রে সেটা ঘটেছে ব্যক্তিগত অনুশীলনের মাধ্যমে। সে অনুশীলনের যোগান দিয়েছে আইনজীবী হিসেবে ন্যায়বিচার আদায়ে তাঁর দৃঢ়তা এবং সে দৃঢ়তাই বিচারপতি হিসেবে রায় প্রদানে তাঁকে করেছে সাহসী, যার কিছু বিবরণ স্বচ্ছ ও প্রাঞ্জল ভাষায় তিনি বইটিতে দিয়েছেন। মুখবন্ধটিও গতানুগতিক নয়। কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে বিচারপতি রাব্বানী যেমন বিচার-ব্যবস্থার দুর্গতি নির্দিষ্ট করেছেন, তেমনি বিচার-ব্যবস্থাকে গণমুখী করার রূপরেখাও দিয়েছেন। সব মিলিয়ে সুখপাঠ্য এমন বিষয়বস্তু, যা বাংলাসাহিত্যে এখন পর্যন্ত বিরল।

নাগরিকদের জানা ভালো
Justice Md. Habibur Rahman
Short Review: নাগরিক হিসেবে আমাদের যেমন কিছু অধিকার আছে, তেমনি রাষ্ট্র ও সমাজ, এমনকি পরস্পরের প্রতি কর্তব্যও আছে। এই অধিকার ও কর্তব্য সম্বন্ধে সচেতনতা উন্নত সমাজের একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য। এমনিতে একজন নাগরিক তাঁর পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন সময় বিক্ষিপ্তভাবে নাগরিক অধিকার ও দায়িত্ব সম্বন্ধে ধারণা বা জ্ঞান লাভ করেন। তবে তা অনেক সময় নাগরিকের মনে স্থিতি পায় না। আমাদের বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকদের অধিকার ও দায়িত্বে অবহেলার শাস্তির বিধানাবলি উল্লেখিত আছে দণ্ডবিধিতে। কিন্ত সকল নাগরিকের পক্ষে তো সব সময় সংবিধান, দণ্ডবিধি ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন গ্রন্থর পাতা ওল্টানো সম্ভব নয়। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, ধর্মজীবন ইত্যাদি সম্পর্কে জানাও একজন নাগরিকের পক্ষে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এত সব জরুরি জ্ঞাতব্য বিষয়কে একটি গ্রন্থের পরিসরে আবদ্ধ করে সাধারণ নাগরিকদের কাছে সহজলভ্য করে তলিতে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান তাঁর জীবনের একেবারে শেষ দিকে আমাদের জন্য এই বইটি রচনা করেছেন।

আইন অধিকার ও বিরোধ মীমাংসা
Justice Md. Habibur Rahman
Short Review: Text

বরণীয় মানুষ স্মরণীয় বিচার
Sunil Gangopadhyay
Short Review: বিখ্যাতদের মজার কাহিনী বা জীবনী নিয়ে প্রচুর বই লেখা হলেও যাঁদের চিন্তা বা কীর্তির জন্য জীবন দান করতে হয়েছে অথবা মর্মান্তিক শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের এই সাহসিকতা নিয়ে খুব কম বই-ই লেখা হয়েছে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘ বরনীয় মানুষ স্মরণীয় বিচার’ সেরকই একটি বই। লেখক বলেছেন, “এই সব অসমসাহসী ও মহান মানুষের জীবন বারবার প্রমাণ করে দিয়ে যায় মানুষের আবিষ্কারের কোনো সীমা নেই। হৃদয় ও বর্হিজগতে মানুষ চিরকালের অভিযাত্রী । যে কোনো প্রকারে মানুষের চিন্তার স্বাধীনতায় বাধা দিয়ে সমগ্রভাবে মনুষ্য সমাজেরই ক্ষতি হতে পারে। অতীতের এই সব কাহিনী হয়তো আমাদের ভবিষ্যতের পথ চেনাতে সাহায্য করতে পারে।”